আজ মঙ্গলবার, ১৯শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

পেটের ব্যথায় ৫টি ইনজেকশন দেয় মান্নান !

 খানপুর হাসপাতালের খবর ভাইরাল 

সংবাদচর্চা রিপোর্টঃ
‘ইনজেকশন পুশ করেই মজা পান মান্নান’ শিরোনামে সংবাদটি সমগ্র নারায়ণগঞ্জ জুড়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে। দৈনিক সংবাদচর্চার অনলাইন সংস্করনে সংবাদটি প্রকাশিত হলে সামাজিক যোগাযেগ মাধ্যমে তা ভাইরাল হয়ে যায়। ফেসবুকে নারায়ণগঞ্জের একাধিক গ্রুপে অবৈতনিক মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুল মান্ননের সংবাদটি বহুবার শেয়ার করা হয়। শেয়ার করা সংবাদে নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় অনেক বাসিন্দারা তাঁদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। অনেক ভুক্তভোগী ডা. মান্নানের অব্যহতি ও তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করারও আহ্বান জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষের বরাবর।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যপস ভাইরাল হওয়া ডা. আব্দুল মান্নানের সংবাদ একাধিক সাধারণ নাগরিক তাঁদের মতামত তুলে ধরেন, নাহিদ আহমেদ বলেন, উনাকে এরেষ্ট করে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করা হোক এবং পাশাপাশি ঔষোধ কোম্পানীকেও যেন ছাড় দেওয়া না হয়, ওমর ফারুক বলেন, দেশের প্রশাসন ও সরকারের কাছে অবেদন করছি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হোক। মানুষের চাহিদা গুলি সঠিক ভাবে প্রদান করা হোক। তালহা খালেদ নামে একজন মন্তব্য করেন সবাই ওর বিরুদ্ধে যেহেতু খারাপ আচরণ করার অভিযোগ এনেছেন সেহেতু তদন্ত করা হোক, মো. হাসান মিন্টু বলেন, ওকে তো সাবই পাগলা মান্নান বলে। যারা ওকে চেনে, তাঁরা তাকে দেখলে কেউ চিকিৎসা নেয় না। মীর সাঈদ নামে একজন মন্তব্য করে বলেন, দুঃখের বিষয় গত কয়েকদিন আগে আমার পেটের তীব্য যন্ত্রণায় টিতে না পেরে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে গেলে এই ডাক্তার ৫টা ইনজেকশন দেয়, তর মধ্যে পায়ের রানে ১টা আর বাকি ৪টা হাতে দিয়েছিলো। পেটের ব্যাথায় এত ইনজেকশন দিবে জানা ছিলো না, তিনি একটি প্রেশক্রিপশন এর ছবি দিয়ে আরো বলেন সামান্য পেট ব্যাথার ২ হাজার টাকার ঔষোধ সাথে ২ হাজার টাকার পরীক্ষা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনেকেই অনেক মন্তব্য করেন। তারা মন্তব্য করে বলেন, যেহেতু তিনি একজন বিতর্কতিক ব্যক্তি এবং বতমানে ও বিগত সময়ে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এতো অভিযোগ থাকা সত্তেও তিনি কি করে নারায়ণগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন? যে মানুষটি বিনা বেতনে সার্ভিস দিচ্ছেন তার কি এমন উপর্জন রয়েছে যে বিনা বেতনে কাজ করছেন?